অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত আরো দুইজনকে উদ্ধার করেছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি হতে চলেছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রায় আটদিন ধরে আটকা থাকার পর সর্বশেষ অলৌকিকভাবে এক বালক ও ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু পরিবেশিত খবরে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় হতাই প্রদেশে মুস্তাফা নামের সাত বছর বয়সের এক বালককে উদ্ধার করা হয়। এদিকে হতাইয়ের নুরদেগি থেকে নাফিজ ইলমাজ নামের এক বয়স্ক নারীকে উদ্ধার করা হয়। রোববার রাতে উদ্ধার হওয়ার আগে এ দুইজনই ১৬৩ ঘণ্টা আটকা পড়া অবস্থায় ছিলেন।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানায়, দেশটির বিভিন্ন সংস্থার ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় কাজ করছে। এর পাশাপাশি ৮,২৯৪ জন আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মী এসব কাজে সহযোগিতা করছে।
তুরস্কের সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে মোট ১২,১৪১টি ভবন ধসে পড়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানান, গত সোমবারের ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে তুরস্কে ২৯,৬০৫ এবং সিরিয়ায় ৩,৫৮১ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত দুই দেশ মিলে মোট ৩৩,১৮৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
Leave a Reply